যে বইটি একাধারে ১২০ সপ্তাহ অর্থ্যাৎ ৯৪০দিন নিউ ইর্য়ক টাইমস-এর বেস্ট সেলার তালিকায় ছিল, যে বইয়ের বাস্তবধর্মী ও প্রেরণাদায়ক ঘটনাগুলো আমাদেরকে দেখিয়ে দেয় ‘অভ্যাসের শক্তি কতটা? কিভাবে পরিবর্তিত হওয়া যায়? বইটির লেখক অত্যন্ত চমৎকার ও প্রাঞ্জল ভাষায় বইটিতে আমাদের অভ্যাসের শক্তি কতটা তা দেখানোর চেষ্টা করেছেন। বইটি পড়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টস বের করেছি যা সকলের সাথে শেয়ার করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছি।
এ বইটি অন্য বই থেকে সম্পূর্ণ আলাদা এবং এতে কোনো রূপক উপমা বা গল্প ব্যবহার করা হয়নি।
এবার আসা যাক, চুম্বক কিছু পয়েন্টস নিয়ে:
১ম : আমাদের খারাপ বা বাজে অভ্যাসগুলো যদি আমরা দূর করতে চাই তাহলে আমাদের ভালো অভ্যাস দিয়ে রিপ্লেইস করতে হবে।
২য় : কোনো কিছুকে অভ্যাসে পরিণত করতে হলে তা বার বার করতে হয়। তাহলে তা সহজেই বোধগম্য হয়।
৩য় : যে কোনো অভ্যাসই শক্তিশালী। তবে এতটা শক্তিশালী নয় যে পরিবর্তন করা যাবে না। চাইলে যে কোনো অভ্যাস পরিবর্তন করা যায়।
৪র্থ : বইটিতে প্রতিটি কাজের জন্য পুরস্কার রাখতে বলা হয়েছে। সূত্র>রুটিন>পুরস্কর। যেমন: কাজ করলে অর্থ পাবো। ব্যায়াম করলে মন ভালো থাকবে। এমন রকম প্রতিটি কাজের জন্য পুরস্কার রাখা জরুরী।
৫ম: একমাত্র রুটিনই পারে আমাদের অভ্যাসকে নতুন করে গড়ে তুলতে। রুটিন মাফিক কাজ করা প্রয়োজন। তালিকা করে কাজ করলে কাজ গুছিয়ে করতে সহায়তা করে।
৬ষ্ঠ : আমাদের অভ্যাসের চাবিকাঠির মূল চালিকা শক্তি হলো ইচ্ছাশক্তি। নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
৭ম : সফলতার জন্য কাজে গভীর মনোযোগ দেয়া প্রয়োজন তেমনি কাজের মধ্যে আনন্দও পাওয়া দরকার। অর্থ্যাৎ মনোযোগের সাথে আনন্দ যোগ হলে সে কাজটি অনায়াসে করতে মন চায় এবং তখন কাজে সফলতা আসে। যেমন: ব্যায়াম করাটাকে আনন্দ সহকারে উপভোগ করতে পারলে তা অভ্যাসে আপনা-আপনিই চলে আসবে।
৮ম : বৃথা কাজে নিজের শক্তি অযথা অপচয় করা যাবে না।
৯ম : আমরা কেমন হতে চাই?’-এ সিদ্ধান্তই আমাদের ভিতরকার পরিবর্তন আনতে পারবে। অর্থ্যাৎ যখনি আমরা সিদ্ধান্ত নিতে পারবো আমরা নিজেকে কেমন দেখতে চাই বা হতে চাই তখনই আমাদের ভেতরের পরিবর্তন সাধিত হবে।
১০ম : আমরা জীবনে ভালো-মন্দ যা কিছুই করে থাকি না কেন তার সবকিছু আমাদের অভ্যাসের ‍সমষ্টি। অভ্যাস আপনাকে ভালো বা খারা যে কোনো কিছু করতে পারে।

Post a Comment

For any query, please let us know.
We try our best to answer you.

Previous Post Next Post